'আমি ঝট করে মাথা ঘোরাতেই দেখলাম মেয়েটি বসার ঘরের মাঝখানের জানলার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, তার নজর সটান আমার দিকে। সে তার পরেই বেরিয়ে এলো, ফ্লেমিঙ্গো আঁকা কিমোনো তখনও তার শরীরে রয়েছে। সে আমাকে বরফ ঠান্ডা এক গ্লাস জল হাতে ধরিয়ে দিলো। গ্লাসের জলে চুমুক দিয়েই আমি তার নগ্ন শরীর মনশ্চক্ষে দেখতে পেলাম।' হেনরী উত্তরসাগরের একটি তেলের খনিতে কাজ করে। সে প্রতিদিনপর পর 12 ঘন্টা ধরে, 14 দিন একনাগাড়ে কাজ করে। দুই সপ্তাহ পরে সে দেশের মূল ভূখন্ডেছুটি কাটাতে যেত, যেখানে সে তার বন্ধু ও অবিবাহিত সহকর্মীদের সাথে চুটিয়ে সময় কাটাতো। সে তার রাতগুলো মহিলাদের সঙ্গে শুযে, তাদেরকে শরীরী সুখ দিয়ে আর নিজের আবেগকে মুক্ত হতে দিয়ে কাটাতো। সকালে উঠে সে তাদেরকে বিদায় জানাতো। সে একটা সহজ নীতি মেনে চলে: প্রত্যেক রাত্রে একজন নতুন মহিলা। শুধু একবারই সে একটা ব্যতিক্রম করে ফেলেছিল। মেয়েটির নাম ছিল ক্লারা। এই ছোট গল্পটি সুইডিশ ফিল্ম প্রযোজক এরিকা লাস্টের সঙ্গে সহযোগিতায় প্রকাশিত হয়। তাঁর উদ্দেশ্য হল শক্তিশালী গল্প এবং কামকাব্যের সংমিশ্রণে আবেগ, অন্তরঙ্গতা, কামনা এবং প্রেমের গল্পের মাধ্যমে মানব প্রকৃতি এবং বৈচিত্র্যকে চিত্রিত করা।